আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের শিবেরকুটি গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত রত্নাই নদীর তীব্র ভাঙ্গণে ১হাজার মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও নদী ভাঙ্গণে ফসলি জমি, আধাপাকা ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। রত্নাই নদীর ভাঙ্গণ তীব্র আকার ধারণ করলেও সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে ভাঙ্গণ প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে রত্নাই নদীর ভাঙ্গণের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে কুলাঘাট ইউনিয়নের শিবেরকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিবেরকুটি কমিউনিটি ক্লিনিক, শিবেরকুটি জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা, শিবেরকুটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ভাঙ্গণ প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ভাঙ্গণ আতংঙ্কে রয়েছে এলাকার শত-শত মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কুলাঘাট ইউনিয়নের শিবেরকুটি গ্রামের আলহাজ্ব রমজান আলী মাস্টারের বাড়ির পয়েন্টে রত্নাই নদীর পাড়ের ১হাজার মিটার ভেঙ্গে গেছে। ইতিপূর্বে শিবেরকুটি এলাকার ২টি বাড়ি ঘর গাছপালাসহ ধ্বংস হয়ে গেছে কয়েক একর জমি।
শিবেরকুটি গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম জানান, রত্নাই নদীর ভাঙ্গণে তাদের ভিটে-মাটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে তারা ঘর-বাড়ি সরিয়ে অন্যত্র নিচ্ছে। অনেকেই ভিটে-মাটি হারিয়ে অন্যত্র জমি নিয়ে বাড়ি করেছেন।
ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোন প্রতিনিধি ভাঙ্গণ এলাকাটি পরিদর্শন করতে এখন পর্যন্ত যায়নি মর্মে জানা গেছে।
উক্ত গ্রামের ঐতিহ্যবাহী আলহাজ্ব রমজান আলী মাস্টারের বাড়ী আজ বিলীনের পথে।
উল্লেখ্য যে, রত্নাই নদীটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত হয়ে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীর্ঘলটারি গ্রামের পশ্চিম দিক দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে দক্ষিণে ভেলাবাড়ী হয়ে দক্ষিণ-পূর্বমুখী হয়ে মোগলহাট-কুলাঘাট ইউনিয়নের চর কুলাঘাট মৌজার পূর্বে ধরলা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।